১। বাংলাদেশে উদ্ভাবিত (বংশ GC0034) জাতটি এদেশের আবহাওয়ায় চাষাবাদ উপযোগীতা যাচাই বাছাই প্রক্রিয়ার মাধ্যমে বারি রসুন-৩ হিসেবে ২০১৬ ইং সালে অনুমোদিত হয়।
২। গাছের উচ্চতা ৭১-৭২.৩৯ সে.মি.।
৩। গাছের পাতার রং গাঢ় সবুজ।
৪। গাছ মাঝারি ধরনের, প্রতি গাছে পাতার সংখ্যা ১০-১০.৭টি।
৫। এটি শীতকালীন জাত।
৬। প্রতি বাল্বের কোয়ার সংখ্যা ২৩-২৪.৪৫টি, কোয়ার গড় দৈর্ঘ্য ২-২.৫২ সে.মি.।
৭। বাল্বের গড় ওজন ১১-১২.৪৩ গ্রাম ও বাল্বের গড় দৈর্ঘ্য ৩-৩.৩৯ সে.মি.।
৮। জাতটি ভাইরাস রোগ আক্রমণ সহনশীল এবং পোকামাকড় এর আক্রমণ কম হয়।
৯। তবে মাঝে মাঝে পার্পল ব্লচ ও পাতা ঝলসানো রোগ দেখা দিতে পারে।
চাষাবাদ পদ্ধতিঃ
১ । বপনের সময়
: মধ্য অক্টোবর থেকে নভেম্বর মাসের প্রথম সপ্তাহ পর্যন্ত রসুনের কোয়া লাগানোর উপযুক্ত সময়। এর পর রসুন লাগালে ফলন খুবই কমে যাবে। গবেষণা প্রাপ্ত ফলাফল অনুযায়ী ৪ মিটার দৈর্ঘ্য এবং ১.৫ মিটার প্রস্থ তৈরিকৃত বেডে রো-কোদাল দিয়ে ১০ সে.মি. দূরত্বের সারিতে ২.৫-৩.০ সে.মি গভীর নালা করে তার মধ্যে ১০ সে.মি দূরে দূরে রসুনের কোয়া রোপন করতে হবে।
২ । মাড়াইয়ের সময়
: রসুন রোপনের দুই মাস পরে কন্দ গঠিত হতে থাকে রোপনের তিন থেকে সাড়ে তিন মাস পরে কন্দ পুষ্ট হতে শুরু করে । ৪-৫ মাস পরে রসুন উত্তোলন করা যায়। পাতার অগ্রভাগ যখন হলদে বা বাদামী হয়ে শুকিয়ে যেতে থাকে তখন বুঝতে হবে রসুন পরিপক্ক হয়েছে। এছাড়া কন্দের বাহিরের দিকের কোয়াগুলি পুষ্ট হয়ে লম্বালম্বিভাবে ফুলে উঠে এবং দুটি কোয়ার মাঝে খাঁজ দেখা যায়। এ সময় রসুন তোলার উপযুক্ত হয়। গাছ হাত দিয়ে টেনে তুলে মাটি ঝেড়ে পরিষ্কার করা হয়। এরপর কন্দগুলি ৩-৪ দিন ছায়ায় রেখে শুকানোর পর গুদামজাত করা হয়।
৩ । সার ব্যবস্থাপনা
: সম্পূর্ণ গোবর ও খৈল ফসল লাগানোর ১৫-২০ দিন পূর্বে জমিতে প্রয়োগ করতে হবে। সম্পূর্ণ টিএসপি, এমপি, জিপসাম, বোরন এবং অর্ধেক ইউরিয়া জমি তৈরীর সময় দিতে হবে। বাকী অর্ধেক ইউরিয়া দুই কিস্তিতে সমান ভাবে রসুন বপনের ২৫ দিন এবং ৫০দিন পর দিতে হবে। এছাড়া জমিতে ছাই প্রয়োগ করলে মাটি আলগা থাকে এবং ফলন বেশী হয়।